হারিয়ে যাচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘চুঙ্গা পিঠা’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩

মৌলভীবাজার: শীত এলেই যে বিশেষ এবং ব্যতিক্রমী পিঠাটির কথা মনে আসে তার নাম ‘চুঙ্গা পিঠা’। এটি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
এক সময় সিলেটের গ্রামগুলোতে এই বিশেষ পিঠাটির ব্যাপক রেওয়াজ ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা আজ অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
শীতের আমেজে উৎসব আর আনন্দের মাত্রা বাড়াতে এ পিঠার জুড়ি নেই। প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলের প্রবাসীরা শীত মৌসুমে বাড়ি এলে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। কারণ এই পিঠার ঘ্রাণ, স্বাদ আর ব্যতিক্রমী আয়োজন মন কাড়ে সবার।
এ পিঠা তৈরির উপকরণও অনেকটাই সহজ। উল্লেখযোগ্য উপকরণ মাত্র চার পদ। খড়, বিন্নি চাল ও চালের গুড়া আর বাঁশ। এই চার পদের উপকরণগুলো সংগ্রহ করেই সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় পিঠা তৈরির কার্যক্রম। বাড়ির আঙ্গিনায় বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই চুঙ্গা পিঠা। সব উপকরণ প্রস্তুত হলে ডাক পড়ে পিঠার আয়োজন, পিঠা তৈরি আর খাবার। এসব কাজেই সরব বাড়ির ছোট-বড় সবাই। দলবেঁধে নানা গল্প আড্ডায় আর উৎসব আমেজে অংশ নেন সবাই।
শীতের রাতে খড়ের আগুনে বিশেষ পদ্ধতিতে তাপ দেওয়া হচ্ছে বাঁশের ভেতরে থাকা পিঠার। আর বাড়ির ছোট-বড় সবাই খড় কুটের আগুনের চার পাশে গোল হয়ে শীত তাড়াতে তাপ নেন আগুনের।
বলাই বাহুল্য, এমন একটি বিশেষ পিঠা তৈরির আয়োজনের মধ্য দিয়ে বছরে অন্তত একটি বার আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার সবার সাথে যোগসূত্রতা ও আত্মীয়তার বন্ধন হয় সুদৃঢ়। কিন্তু নানা কারণে এই ঐতিহ্য আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ, চুঙ্গা পিঠা তৈরি করতে যে প্রধান উপকরণটির প্রয়োজন তা আজ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এই উপকারণটি হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতি থেকে। চুঙ্গা পিঠা তৈরির প্রধান উপকারণটির নাম ‘ঢলু বাঁশ’।
তারপরও কোনোমতে ঠিকে আছে হাওর ও পাহাড় ঘেরা এ অঞ্চলের ঐতিহ্য শীতে চুঙ্গা পিঠার রেওয়াজ। শীত এলেই স্থানীয় বাজারগুলোতে এখন মাঝে মাঝে চোখে পড়ে পাহাড়ি ঢলু বাঁশ বিক্রির পসরা। আগেকার দিনের মতো দোকানিরা ঢলু বাঁশের বড় পরিসরের পসরা না বসালেও এবছর অল্প করে হলেও এরকম বাঁশ বিক্রি হচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া,জুড়ী বড়লেখা ও কমলগঞ্জের স্থানীয় বাজারগুলোতে।
ঢলু বাঁশ বিক্রেতা রহিম মিয়া জানান, পাহাড়ে আর আগের মতো নেই পিঠা তৈরির ঢলু বাঁশ। বাজারগুলোতে হাতে-গোনা কয়েকজন বিক্রেতা হলেও ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তাই বিক্রেতারা পসরা সাজানোর আগেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব বাঁশ। আমরা সারাদিন বন থেকে বনে ঘুরে ১০-১৫ আটি (এক আটিতে ২০টি পিঠা তৈরির বাঁশ থাকে) বাঁশ সংগ্রহ করতে হিমশিম খাই। আগে ১ থেকে ২ ঘণ্টায় পাহাড় থেকে ২০টি ঢলু বাঁশ সংগ্রহ করতে পারতেন। এখন নানা কারণে পাহাড়ি বাঁশ, গাছ আর বন উজাড় হওয়ায় তারা মৌসুমেও প্রতিদিন তা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে বসতে পারি না।
এক কুঁড়ি একই আকার ও আয়তনের বাঁশ (২০টি পিঠা তৈরির বাঁশ) বিক্রি করেন ৫-৭শ টাকা। পৌষ সংক্রান্তির সময় এক কুড়ি ঢলু বাঁশ ৭শ থেকে ৮শ টাকায় আমরা বিক্রি করি বলে জানান এই বাঁশ বিক্রেতা।
চুঙ্গা পিঠা তৈরি প্রসঙ্গে ওই বাঁশ বিক্রেতা বলেন, কলাগাছের কান্ডের দুটি টুকরো অথবা ইট কিংবা মাটি দিয়ে বিশেষ চুলা তৈরি করে তার উপরে বাঁশের চুঙ্গাগুলো সাজিয়ে রাখতে হয়। তারপর খড়ের আগুনে ভালোভাবে চুঙ্গাগুলো পুড়িয়ে নিলেই চুঙ্গাটি পিঠাতে পরিণত হয়। পিঠা তৈরি হয়ে গেলে মোমবাতির মতো সাদা অংশ চুঙ্গার ভেতর থেকে পিঠা আলাদা হয়ে যায়। আগুনে পোড়ানো চুঙ্গাটি ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে হাত দিয়ে কিংবা ছুরি দিয়ে আখের ছাল ছাড়ানোর মতো ছিলে নিতে হবে। ছাল ছাড়ানো হয়ে গেলে মিলে কাঙ্ক্ষিত সেই সুগন্ধযুক্ত বাঁশে পিঠা চুঙ্গা।
সিলেট বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জিএম আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের জুড়ী উপজেলার কয়েকটি বাঁশবহালে এই প্রজাতির বাঁশ এখনো টিকে আছে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি ঢলু বাঁশসহ অন্যান্য প্রজাতিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে। যাতে কখনোই ওই প্রজাতিগুলো নিশ্চিহ্ন না হয়। তবে আশার কথা হলো, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী চুঙ্গা পিঠার কথা মাথা রেখেই আমরা জুড়ী এবং বড়লেখা উপজেলায় কিছু বাঁশমহলে নতুন করে ঢলু বাঁশের প্লান্টেশন (চাষাবাদ) করেছি।
- জমি দখল ও প্রাণে বাঁচতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি
- নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ
- জেল ও জামিন নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া
- কোনো নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে যুক্ত নই: বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল
- পিছিয়ে গেল তালহার অস্ট্রেলিয়া সফর, কারণ কী
- ৫ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করলেন মা
- গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৭৭ জনকে অব্যাহতি
- তরুণরা সক্রিয় থাকলে কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থাকে না
- পদোন্নতি পাওয়া পুলিশের ৬২ কর্মকর্তাকে একযোগে পদায়ন
- শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য শুরু
- শপথ নিলেন নেপালের নতুন ৩ মন্ত্রী, জেন জি-দের আপত্তি
- জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জামায়াতের
- নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় জেন জি
- অপ্রথাগত বাজারে নতুন দিগন্ত: পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ
- এক ভোটের ভিপি প্রার্থী রাকিব: অচেনা ভোটারকে বিয়ের প্রস্তাব
- একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী
- চলল ৮–১০ রাউন্ড গুলি, বেঁচে ফিরলেন দিশা পাটানির বাবা
- বেকার পুরুষ নিয়ে আপত্তি নেই তানিয়ার, সারাজীবন খাওয়াবেন
- যেসব চাকরিতে এআই কখনোই বিকল্প হবে না
- আগামী বছর থেকে অনলাইনেই দাখিল করা যাবে করপোরেট ট্যাক্স
- ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভেতরে অন্য লড়াই
- গাজা সিটি খালি করতে হামলার গতি বাড়ালো ইসরায়েল, একদিনেই নিহত ৪৯
- খাতুনগঞ্জে নিয়ন্ত্রণহীন পাম অয়েলের দাম
- মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা
- ঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, অফিসগামীদের ভোগান্তি যানজটে
- মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে বাতিল প্রার্থিতা
- মনিরামপুরে বিধবার ঘরে বিতর্কে বিএনপি নেতা বরখাস্ত
- প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নয়: বিএমএসএফ
- বাবার নামে ভুয়া প্রচারে আঁখির সতর্কবার্তা
- বলিউডে শুভর প্রথম পদচারণা: ‘জ্যাজ সিটি’র টিজারে মুগ্ধ দর্শক
- ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন
- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্মচারি ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠান
- জনদুর্ভোগ এড়াতে ইউএনও`র বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
- কুমিল্লা সুপার বাস ও মিশুকের মুখোমুখি সংঘর্ষ
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি: বিশ্ব রাজনীতির নতুন বাস্তবতা
- ডমেস্টিক টার্মিনালের সামনে কোমর পানি, যাত্রীদের ভোগান্তি
- ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
- দেবের প্রথম ক্রাশ, শুভশ্রী-রুক্মিণী নন
- লাকসামে গৃহবধূ ও স্বজনদের উপর দুই দফা সন্ত্রাসী হামলা আহত ৩
- মনিরামপুরে বিধবার ঘরে বিতর্কে বিএনপি নেতা বরখাস্ত
- ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের ভূমিধস জয়
- নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ
- যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
- কবি নজরুল হলে ৪৫ মিনিটে ভোট পড়েছে ১২টি
- সড়ক দুর্ঘটনায় কাজলের মৃত্যুর গুজব, যা জানা গেল
- আমাদের আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হয়ে গেছে
- জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা সংশপ্তক প্যানেলের
- গাজীপুরে র্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তি গ্রে
- প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নয়: বিএমএসএফ
- বিশ্ব বাবা দিবস আজ
বাবা নামের বটবৃক্ষের প্রতি শর্তহীন শ্রদ্ধা - যে নারীর নামে হলো আম্রপালী
- গাড়ির টায়ার কালো হয় কেন?
- হোস্টেলে মেয়েরা যে নিষিদ্ধ কাজ করে!
- হোস্টেলে মেয়েরা যে নিষিদ্ধ কাজ করে!
- উত্তেজক ট্যাবলেটে ঝুঁকছে যুবক-যুবতীরা
- রাত গভীর হলেই শ্বশুরের অন্য মতলব!
- চারদিকে ‘ছেলেধরা’ ‘গলাকাটা’ আতঙ্ক!
- ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির একটি কলংকিত অধ্যায়
- উড়ন্ত বিমানের ভেতর নোয়াখালীর তরুণের অনৈতিক কাজ!
- এসি কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
- কপালে টিপ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বহিষ্কার!
- একাধিক এতিম ছেলেকে হাফেজ বানিয়েছেন ব্যাংকার গহর জাহান
- ভবন নির্মাণে কী কী ছাড়পত্র লাগে?
- বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিচ্ছে নতুন টেলিভিশন প্রভাতী টিভি